নানাভাবে জলপাই খাওয়া যায়। জলপাইয়ে খাদ্যশক্তিও বেশ কিছু ফলের চেয়ে বেশি আছে বলে বিষেজ্ঞরা জানান। জলপাইয়ে খনিজ পদার্থের পরিমান অনেক ফলের চেয়ে বেশি থাকে। জলপাইয়ে আয়রণ ও ক্যালসিয়ামের পরিমান পাকা আম, পাকা পেঁপে, আনারস, পেয়ারা, লিচু, বরই, তরমুজ, কামরাঙ্গা, জাম্বুরা, বাঙি, বেল, আমলকি, আপেল, এবং আঙ্গুরের চেয়ে বেশি। এই ফলে রয়েছে উচ্চমানের ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ই। এই ভিটামিন গুলো দেহের রোগজীবাণু ধ্বংস করে, উচ্চরক্তচাপ কমায়, রক্তে চর্বি জমে যাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে হৃৎপিন্ডের রক্তপ্রবাহ ভালো রাখে। হৃৎপিন্ড থেকে অধিক পরিশোধিত রক্ত মস্তিষ্কে পৌছায়, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। ত্বকের কাটাছেড়া দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। উচ্চরক্তচাপ ও রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে এর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সেদ্ধ জলপাইয়ের চেয়ে কাচা জলপাইয়ের পুষ্টিমূল্য অধিক। এই ফলের আয়রন রক্তের আরবিসির কর্মশক্তি বৃদ্ধি করে। জলপাইয়ের খোসায় রয়েছে আঁশজাতীয় উপাদান। এই আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়, কোলনের পাকস্থলীর ক্যান্সার দূর করতে রাখে অগ্রণী ভূমিকা। Continue reading